তামাত্তো অর্থ উপভোগ করা। শরীয়তের দৃষ্টিতে তামাত্তো হাজী তার অবস্থান থেকে রওয়ানা কালে অথবা মীক্বাত অতিক্রম করার পূর্বে উমরাহর ইহরাম বাঁধা তামাত্তো হাজী।
হজ্জের প্রকারভেদ ও বিবরণ
হজ্জ আদায়ের পদ্ধতিগত দিক থেকে তিন প্রকারঃ
যথা-
১) তামাত্তো
২) ক্বেরাণ
৩) ইফরাদ
তামাত্তো অর্থ উপভোগ করা। শরীয়তের দৃষ্টিতে তামাত্তো হাজী তার অবস্থান থেকে রওয়ানা কালে অথবা মীক্বাত অতিক্রম করার পূর্বে উমরাহর ইহরাম বাঁধা এবং মক্কায় পৌছে উমরাহ সম্পন্ন করে হালাল হয়ে যাওয়া এবং ৮ই যিলহজ্জ হজ্জের ইহরাম বেঁধে হজ্জ আদায় করা। উমরাহ সম্পন্ন করার পর থেকে হজ্জের ইহরাম বাঁধার পূর্ব পর্যন্ত সে হালাল অবস্থায় থাকবে এবং ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ বিষয়গুলো উপভোগ করতে পারবে। তবে, সময়ও সুযোগ থাকলে এর মাঝে নিজের ইচ্ছেমত ধরাহ আদায় করতে পারবে, এক্ষেত্রে মসজিদে আয়েশা থেকে ইহরাম বেঁধে আসবে তামাত্তো হজ্জে দমে শোকর (কুরবানী) ওয়াজিব। বাংলাদেশ থেকে হাজী সাহেবগণ সাধারণতঃ তামাত্তো করেন।
ক্বেরাণ অর্থ একত্রিত করা। এ হজ্জে একই ইহরামে উমরাহ ও হজ্জকে একত্রে আদায় করা হো। শরীয়তের দৃষ্টিতে হাজী তার বাড়ী বা অবস্থান থেকে রওয়ানা কালে অথবা মীক্বাত অতিক্রম করার পূর্বে একই সাথে উমরাহ ও হজ্জের নিয়্যতে ইহরাম বাঁধবেন। মক্কায় পৌঁছে প্রথমে উমরাহ আদায় করবেন এবং ইহরাম অবস্থায় থেকে যাবেন। হজ্জ এর দিন উপস্থিত হলে হজ্জ আদায় করে হালাল হবেন। ক্বরাণ হজ্জে দমে শোকর (কুরবানী) ওয়াজিব)
ইফরাদ হজ্জের বিবরণ
ইফরাদ অর্থ একক করা। অর্থাৎ হাজী তার বাড়ী বা অবস্থান থেকে রওয়ানা কালে অথবা মীক্বাত অতিক্রম করার আগে শুধুমাত্র একক হজ্জের ইহরাম বাঁধবেন। মক্কায় প্রবেশ করে তিনি তাওয়াফে কুদুম (আগমনী তাওয়াফ যা সুন্নাত) করে ইহরাম অবস্থায় থাকবেন। মীনা, আরাফাত, মুযদালিফায় অবস্থানের পর ১০ই যিলহজ্জ জামরায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপের পর তিনি মাথা মুন্ডন করে হালাল হবেন। ইফরাদ হজ্জের জন্য দমে শোকর (কুরবানী) নেই। এটা হচ্ছে উমরাহবিহীন হজ্জ। অবশ্য ১৩ যিলহজ্জের পরেও যদি হাজী মক্কা মোকাররমাো অবস্থান করেন তাহেল হরমের সীমানার বাইরে গিয়ে যেমন মসজিদে আয়েশা থেকে ইহরাম বেঁধে এক বা একাধিক বার উমরাহ আদায় করতে পারেন।
হজ্জের ফরয ৩টি যথা-
১। ইহরাম বাঁধা অর্থাৎ হজ্জ আদায়ের নিয়্যত করে তালবিয়া পাঠ করা। তামাত্তো হজ্জের ক্ষেত্রে হাজী বাড়ী বা তার অবস্থান থেকে হজ্জের নিয়্যত করবে না এবং উমরাহর নিয়্যত করবে এবং মক্কা মোকাররমা থেকে হজ্জের নিয়্যত করবে। ক্বেরাণ ও ইফরাদ কারী বাড়ী থেকে রওয়ানা কালে বা মীক্বাত অতিক্রমের পূর্বেই হজ্জের নিয়্যত করবে।
২। হজ্জের দিবসে আরাফাতে অবস্থান করা, অর্থাৎ ৯ই যিলহজ্জ দ্বি-প্রহরের পর হতে ১০ই যিলহজ্জ সোবহে সাদিক পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আরাফাত ময়দানের যে কোন অংশে এক মূহূর্তের জন্য হলেও অবস্থান করা। এটাই হজ্জের আসল রূকন। রাসূল (দঃ) ইরশাদ করেন- (আরবী)- অর্থাৎ হজ্জ হচ্ছে আরাফাতে অবস্থান।
৩। তাওয়াফে যিয়ারত। অর্থাৎ ১০ই যিলহজ্জ মাথা মুন্ডিয়ে বা চুল ছেঁটে হালাল হওয়ার পর থেকে ১২ই যিলহজ্জ সূর্যাস্তের পূর্বে যে কোন সময় তাওয়াফ করা। এ তাওয়াফ সাধারণ পোষাক পরে করা হয় এবং এর মধ্যে রমল (বীরদর্পে হাটা) নেই। এই তিনটি ফরয উপরোক্ত ক্রমান্বয়ে নির্দিষ্ট স্থানে নির্ধারিত সময়ে আদায় করা ওয়াজিব। তিনটি পরযের কোন একটি বাদ পড়লে হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে এবং পুনরায় আদায় করতে হবে।
১। ৯ই যিলহজ্জ সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে রওয়ানা হয়ে রাতে মুযদালিফায় এসে ছোবহে সাদিকের পর সূর্যাস্তের পূর্বে কিছু সময় অবস্থান করা, কেউ সারারাত মুযদালিফায় থেকে সুবহে সাদিকের কিছু পূর্বেও যদি মুযদালিফা ছেড়ে চলে যায় তার ওয়াজিব আদায় হবে না।
২। ১০ই যিলহজ্জ মিনায় বড় জামরার উপর ৭টি এবং ১১ ও ১২ই যিলহজ্জ ক্রমান্বয়ে ছোট, মেঝ ও বড় জামরায় ৭টি করে (৩ × ৭ = ২১টি) কংকর নিক্ষেপ করা।
৩। তামাত্তো ও ক্বেরান হজ্জ আদায়কারীর জন্য ১০ই যিলহজ্জ মিনায় কংকর নিক্ষেপের পর দমে শোকর (কুরবানী) করা।
৪। ১০ই যিলহজ্জ মিনাো কংকর নিক্ষেপ ও কুরবানীর পর মাথা মুন্ডানো বা চুল ছাঁটা।
৫। তাওয়াফে যিয়ারত সম্পন্ন করে সাফা ও মারওোা পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সায়ী করা। তবে কেউ যদি হজ্জের ইহরাম বেঁধে মিনায় যাওয়ায় আগে একটি নফল তাওয়াফ করে সায়ী করে তাঁর ওয়াজিব সায়ী আদায় হয়ে যাবে, তাওয়াফে যিয়ারতের পর সায়ী করা লাগবে না।
৬। হরমের সীমানার বহিরাগত হাজীদের তাওয়াফে বিদা বা বিদায়ী তাওয়াফ সম্পন্ন করা।
এছাড়াও হজ্জের বিভিন্ন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট আরো অনেকগুলো ওয়াজিব রয়েছে। যেমন ইহরামের ওয়াজিব, তাওয়াফের ওয়াজিব ইত্যাদি।
ভুলবশতঃ কোন ওয়াজিব বাদ গেলে দম ওয়াজিব হয়।
হজ্জের অনেকগুলো সুন্নাত রয়েছে। কিছু রয়েছে সরাসরি সুন্নাত আমল আর কিছু হয়েছে বিভিন্ন আমলের সাথে সংশ্লিষ্ট। নিম্নে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত তুলে ধরা হল।
১। ইহরাম বাঁধার পূর্বে গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও দুই রাকআত ইহরামের নামাজ পড়া।
২। মক্কার বহিরাগত ইফরাদ ও ক্বেরাণ হজ্জকারী তাওয়াফে কুদুম (আগমনী তাওয়াফ) করা।
৩। তাওয়াফে কুদুমে রমল করা, অর্থাৎ তেজদৃপ্ত পায়ে ছোট ছোট কদমে পাহলোয়ানের মত বুক ফুলিয়ে দুই কাঁধ সামনের দিকে ঝুকিয়ে বাহাদুরী প্রদর্শন করে প্রথম তিন চক্করে চলা।
৪। ইমাম তিন জায়াগায় খুতবা প্রদান করা। ৭ই যিলহজ্জ মক্কামুকাররময়, ৯ই যিলহজ্জ আরাফাতের ময়দানে এবং ১১ই যিলহজ্জ মিনায়।
৫। আরাফার দিনের পূর্ব রাতে মিনায় অবস্থান করা এবং ৮ই যিলহজ্জ যোহর থেকে পরবর্তী ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামায তথায় আদায় করা।
৬। ৯ই যিলহজ্জ সূর্যোদয়ের পর ধীরস্থিরভাবে মিনা হতে আরাফাতে রওয়ানা।
৭। ইমাম এর পরে আরাফাতের মাঠ ত্যাগ করা।
৮। আরাফাত থেকে ফেরার পথে মুযদালিফায় রাত যাপন।
৯। জামরায় কংকর নিক্ষেপের দিনগুলোতে মিনায় রাত যাপন করা।
১০। মিনা হতে স্থানে অতি অল্প সময়ের জন্য হলেও যাত্রাবিরতি করা।
অবশিষ্ট সুন্নাতগুলো হজ্জের কার্যাবলীর সাথে উল্লেখ করা হবে ইন-শাহ-আল্লাহ।
হজ্জে রওয়ানা হওয়ার সময় যতই ঘনিয়ে আসে আল্লাহ প্রেমিকের মন ততই উদগ্রীব হয়ে উঠে। মনের অস্থিরতা বেড়ে যায়। তাই কয়েকদিন আগেই সফরের যাবতীয় কেনা-কাটা সেরে নেওয়া ভাল। একসেট অতিরিক্ত কাপড়, একটি গামছা বা তাওয়াল, হজ্জের বই, কাগজ-কলম সামান্য শুকনা খাবার হাতের ট্রাভেল ব্যাগে রেখে বাকী সব ট্রলিতে ঢোকাবেন। ট্রলির উপরে মার্কার পেন দিয়ে ভালভাবে নাম ও এক পাশে মক্কার ঠিকানা, মুয়াল্লিম নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, এজেন্সীর সৌদি মোবাইল নম্বর লিখবেন। অন্যপাশে বাংলাদেশে আপনার ঠিকানা লিখবেন। রওয়ানার পূর্বরাতে পূর্ণ বিশ্রাম নিবেন কেননা আপনার সফরটি প্রায় ২০/২৫ ঘন্টা দীর্ঘ হবে। আপনি পূর্ব থেকে আপনার এজেন্সী অথবা গাইডের কাছে জেনে নিবেন যে, আপনি বাড়ী থেকে রওয়ানা হয়ে প্রথমেই মক্কা মোকাররমা যাচ্ছেন না মদীনা মুনাওয়ারায় যাচ্ছেন?
যদি বাড়ি থেকে সরাসরি মদীনা মুনাওয়ারায় যান তাহলে বাড়ী থেকে ইহরাম বাঁধার প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক পোষাক পরেই যাবেন। জিয়ারতের মদীনা সম্পন্ন করে মক্কায় রওয়ানা হওয়ার পথে আপনার গাইডের র্নির্দেশনা অনুযায়ী হজ্জ অথবা উমরাহর ইহরাম বাঁধবেন। যদি বাড়ি থেকে মক্কা মোকাররমার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তাহলে উমরাহর ইহরাম বেঁধে নিবেন। বাড়ী থেকে বের হওয়ার পূর্বে আপনার পাসপোর্ট, বিমানে টিকেট গলায় ঝুলানো ছোট্ট ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখবেন। সম্ভব হলে এম্বারকেশন কার্ড পুরণ করে রাখবেন, বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন কাজে এগুলো দেখবে।
ইহরাম এর বিবরণ ও মাসায়েল
ইহরাম অর্থ নিষিদ্ধ করা। হাজী যখন ইহরামের পোষাক পরে হজ্জ বা উমরাহ নিয়্যত করে তালবিয়া পাঠ করে তখন তার উপর কিছু বিষয় নিষিদ্ধ হয়ে যায়, যা অন্য সময় হালাল ছিল। পুরুষদের ইহরামের পোষাক হচ্ছে দুই প্রস্থ সেলাইবিহীন সাদা কাপড়। একটি লুঙ্গি স্বরূপ অপরটি গায়ের চাদর। মহিলাদের জন্য ইহরামের বিশেষ কোন পোষাক নেই। তারা মুখমন্ডল খোলা রেখে সেলাইযুক্ত কাপড় পরবে।
প্রকারভেদঃ উদ্দেশ্য ভেদে ইহরাম চার প্রকার-
১। শুধুমাত্র হজ্জ পালনের জন্য ইহরাম, ইহাকে ইফরাদ হজ্জ বলে।
২। প্রথমে উমরাহর ইহরাম বেঁধে মক্কায় গিয়ে উমরাহ সম্পন্ন হওয়ার পর হালাল হয়ে যাওয়া এবং পরে সময়মত হজ্জের ইহরাম বাঁধা। এটাকে তামাত্তো হজ্জ বলে।
৩। উমরাহ এবং হজ্জ উভয়টি আদায়ের উদ্দেশ্যে এক সাথে ইহরাম বাঁধা। এটাকে ক্বেরাণ হজ্জ বলে।
৪। হজ্জের মাস তথা শাওয়াল, জিলক্বদ ও যিলহজ্জের ৮ থেকে ১৩ তারিখের পূর্বে বা পরে বছরের যে কোন সময় শুধু উমরাহর ইহরাম বাঁধা।
ইহরামের মাধ্যেমেই পবিত্র হজ্জের সূচনা হয়। এর মাধ্যমে আপনার জীবনের কাংখিত মহান সফর শুরু হবে। এই বরকতময় সফর থেকে আপনি ফিরে আসা না একান্তই আল্লাহর ইচ্ছাধীন। তাই ইহরামের পূর্বে যথাসম্ভব আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী থেকে মাফ নিন। সন্তানদেরকে ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলার অসিয়ত করুন।
প্রথমে নখ, চুল কাটবেন ও বগলের পশম, নাভীর নীচের পশম মুন্ডাবেন। অতঃপর শরীরের ময়লা পরিস্কার করে গোছল করবেন, কোন কারণবশতঃ গোছল সম্ভব না হলে অযু করবেন, শরীরে আতর-সুগন্ধী মাখবেন, প্রয়োজনে চুলে তৈল, শরীরে তৈল / ক্রীম / লোশন মেখে নিবেন, চুল আচড়াবেন। অতঃপর পুরুষগণ একটি সাদা কাপড় লুঙ্গির ন্যায় পরবেন অন্য একটি চাদরের ন্যায় গায়ে দিবেন। মহিলাগণ মুখ খোলা রেখে পোষাক পড়বেন।
নিরিবিলি জায়গায় দাঁড়িয়ে মাথায় টুপি দিয়ে দু’রাকআত সুন্নাতুল ইহরাম নামায পড়বেন। প্রথম রাকআতে সুরা কাফিরুন ও দ্বিতীয় রাকআ’তে সুরা ইখলাছ পাঠ করা ভাল। নামাযের পর মাথা থেকে টুপি নামিয়ে নিয়ত করবেন। মাকরূহ ওয়াক্ত যেমন ফজরের পর থেকে সূর্যোদয়, ঠিক দ্বি-প্রহর ও আছরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে ইহরাম বাঁধলে এই দু’রাকাআত নামায না পড়ে নিয়্যত করলেই হবে। যদি তামাত্তো হজ্জ করেন তাহলে শুধু উমরাহের নিয়্যত করে বলবেন-
হে আল্লাহ! আমি হজ্জের নিয়্যত করতেছি তুমি ইহা আমার জন্য সহজ করে দাও এবং কবুল কর।
আর যদি ক্বেরাণ হজ্জ করেন তাহলে একত্রে উমরাহ ও হজ্জের নিয়্যত করে বলবেন-
হে আল্লাহ! আমি হজ্জ ও উমরাহর নিয়্যত করতেছি তুমি আমার জন্য এদুটোকে সহজ করে দাও এবং কবুল কর।
আরবী না পারলে শুধু বাংলা নিয়্যত করলেও হবে। নিয়ত করার সাথে সাথে পুরুষগণ উচ্চস্বরে মহিলাগণ নিম্নস্বরে নিম্নোক্ত তালবিয়া তিনবার পড়বেন।
লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা নি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা-শারীকা লাক।
আমি উপস্থিত, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত। আমি উপস্থিত তোমার কোন অংশীদার নেই, আমি উপস্থিত। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার, একচ্ছত্র আধিপত্যও তোমারই। তোমার কোন অংশীদার নেই।
এখন ইহরাম বাঁধা সম্পন্ন হয়ে গেল। দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহর দরবারে হাতু তুলে প্রাণভরে দোয়া করবেন, অতীত গোনাহর জন্য ক্ষমা চাইবেন, হজ্জের সফরের জন্য সাহায্য চাইবেন, নিজের জন্য পিতা-মাতা, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সকল মুসলমানের জন্য দোয়া করবেন।
এখন থেকে দুনিয়ার মায়া মহব্বত ছেড়ে আল্লাহর ডাকে দেহ-প্রাণ নিয়ে সাড়া দিচ্ছেন, তার সন্তুষ্টিই আপনার একমাত্র চাওয়া এই আবেগ-অনুভূতি নিয়ে তালবিয়া পাঠ করতে থাকবেন। যানবাহনে উঠতে-নামতে উপরের দিকে উঠতে, নীচের দিকে নামতে, নামাযের পরে তালবিয়া পড়বেন, যখনই পড়বেন তিনবার করে পড়বেন।
উমরাহর ইহরামে কাংবাঘর নজরে আসার পুর্ব পর্যন্ত তালবিয়া পড়বেন। হজ্জের ইহরামের তালবিোা ১০ই যিলহজ্জ জামরায়ে আকবায় পাথর নিদেপের পূর্ব পর্যন্ত চলবে।
ইহরামের হুকুম নার-পুরুষ সকলের জন্যই একরকম। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীদের ইহরাম অবস্থায় বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। যেমনঃ-
১) ইহরাম অবস্থায় নারীগণ মাথাসহ সারাদেহ ঢেকে রাখবে তবে মুখ-মন্ডল খোলা রাখতে হবে। বেগানা পুরুষদের দৃষ্টি থেকে আড়াল করার জন্য মাথার উপর থেকে নেকার এমনভাবে ঝুলিয়ে দিতে হবে যাতে মু-মন্ডলের সাথে লেগে না থাকে। এক্ষেত্রে কাউবয় ক্যাপ পরে তার উপর দিয়ে নেকার ঝুলিয়ে দিলে সুন্দর সমাধান হয়।
২) মহিলাগণ ইহরাম অবস্থায় সেলাই করা কাপড়, রঙিন, পোষাক, মোজা, অলংকার পরতে পারে। অলংকার না পড়াই ভাল।
৩) মহিলাগণ উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ না করে নিম্নস্বরে পড়বে, যাতে শুধু নিজকানে শুনতে পারে।
৪) তাওয়াফে মহিলাগণ ইযতেবা ও রমল করবেনা, সায়ীতে নবুজ বাতিদ্বয়ের মাঝখানের দৌড়াবেনা।
৫) মহিলাদের ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য মাথা মুন্ডন নিষিদ্ধ। সমস্ত চুল একসাথে করে আঙ্গুলের এক কড় পরিমাণ কাটবে মাত্র।
৬) মহিলাগণ হায়েয/নেফাছ অবস্থায় থাকলে গোছল করে সুন্নাতুল ইহরাম নামায ছাড়াই ইহরামের নিয়্যত করবে ও তালবিয়া পড়বে। এমতাবস্থায় তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারবে। পবিত্র হওয়ার পর তাওয়াফ করবে। এরূপ বিলম্ব জনিত কারণে কোন দম বা সদকাও ওয়াজিব হবেনা।
পিতা-মাতা বা নিকটাত্মীয়গণ ইচ্ছা করলে তাদের লালিত-পালিত শিশুদেরকেও হজ্জ-উমরাহ করাতে পারেন। শিশুদের এই হজ্জ নফল বলে গণ্য হবে, অভিভাবকগণ সওয়াব পাবে। বিদায় হজ্জের অধ্যায়ে হাদীছে আছে- একজন মহিলা একটি শিশুকে রাসূলের (দঃ) সামনে পেশ করে জিজ্ঞাস করলেন- এরও কি হজ্জ আছে? রাসূল (দঃ) জবাবে বললেন- হ্যাঁ তবে, তোমারও সওয়াব হবে। (মুসলিম)
০ অবুঝ শিশু হলে সে তো নিজে ইহরাম বাঁধতে বা হজ্জের কাজ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে শিশুকে ইহরামের পোষাক পরিয়ে তার পক্ষ থেকে অভিভাবক ইহরামের নিয়্যত করবে। তাকে কোলে নিয়ে অভিভাবক তাওয়াফ করবে। হজ্জের অন্যান্য কাজগুলোও তাকে নিয়ে আদায় করবে।
০ শিশু বুদ্ধিমান হলে নিজেই ইহরাম বাঁধবে এবং হজ্জের যাবতীয় কাজগুলো আদায় করবে। তার পক্ষ থেকে অভিভাবক ইহরাম বাঁধলে হবে না। অন্য যে সকল কাজগুলো সে নিজে পারবেনা অভিভাবক সেগুলো আদায় করে দিবে। তবে তাওয়াফ পরবর্তী দুই রাকয়াত নামায বুদ্ধিমান শিশু নিজে পড়তে হবে।
০ ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কার্যাবলী থেকে শিশুকে বিরত রাখা অভিভাবকের কর্তব্য, তদুপরি শিশু নিষিদ্ধ কিছু করে ফেললেও কোনরূপ দম বা সদকা ওয়াজিব হবে না।
০ যেহেতু শিশুর হজ্জ ফরয নয় সেহেতু যদি সে হজ্জের যাবতীয় বা কিছু কাজ ছেড়েও দেয় তবু দম, সদকা এমনকি ক্বাযা ও ওয়াজিব হবে না।
০ পাগলের ইহরামের হুকুম ও শিশুদের অনুরূপ।
কিছু কাজ আছে যে গুলো প্রাত্যহিক জীবনে হালালজ বা মুবাহ হলেও ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ। এ কাজগুলো করলে ক্ষেত্র বিশেষে ইহরাম ভঙ্গ হয়ে যায়, আবার কখনো কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়।
১) পুরুষের জন্য সেলাইযুক্ত কাপড়পরা নিষিদ্ধ। যেমন- জামা, পায়জামা, গেঞ্জী, টুপি, আন্ডারওয়্যার, মোজা।
২) চুল, দাঁড়ি, দেহের পশম মুন্ডানোব বা ছাটাকাটা, নখ কাটা নিষিদ্ধ।
৩) সুগন্ধি ব্যবহার করা, কাঁচা সুগন্ধি যেমন জর্দা মসল্লাযুক্ত পান খাওয়া মাকরূহ।
৪) পুরুষের মাথা ও মুখমন্ডল, মহিলাদের মুখমন্ডল ঢাকা যাবে না। তবে মহিলাদের মুখমন্ডল ঢাকতে হলে নেকাবটা এতটুকু দূরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে ইহা মুখকে স্পর্শ না করে।
৫) পুরুষদের পায়ের পাতার উপরিভাগে মোটা হাড় ঢেকে যায় এমন জুতা পরা নিষেধ। সেজন্য চিকন ফিতার স্যান্ডেল পরবেন।
৬) স্ত্রী সহবাস করা, নারীদের উপস্থিতিতে এ সম্পর্কে আলোচনা করা, স্ত্রীকে চুম্বন করা, কামভাবের সাথে স্পর্শ করা নিষিদ্ধ।
৭) সঙ্গী-সাথী বা অপর কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ নিষিদ্ধ।
৮) পুরুষের জন্য রঙিন কাপড় পরা নিষেধ।
৯) স্থলজ প্রাণী শিকার করা, তাড়ানো, জবেহ করা, ইহার ডিম ভাঙ্গা, উকুন মারা, উকুন মারার জন্য কাপড় রোদে ফেলে রাখা বা কোন উপায় অবলম্বন করা নিষেধ। তবে গৃহপালিত পশু-পাখি এ বিধানের বাইরে।
১০) পাপাচার সর্বদাই হারাম, ইহরাম অবস্থায় ইহা আরো জঘন্যতম অপরাধ। তাই সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। মিথ্যা, প্রতারণা, ধোঁকা দেয়া, কাউকে গালি দেয়া, কারো গীবত করা থেকে ভীষণ সতর্ক থাকতে হবে।
১। শরীর হতে ময়লা দূর করা, দেহে, মাথায় দাড়িতে সাবান ব্যবহার করা।
২। চুল-দাড়ি আচড়ানো, এমনভাবে চুলকানো যাতে চুল-দাড়ি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। ইহরামের পোষাকে গিরা দেওয়া বা সুই, পিন দিয়ে আটকানো।
৪। সুগন্ধিযুক্ত কোন দ্রব্য স্পর্শ করা, সুঘ্রাণ নেয়ার জন্য সুগন্ধির দোকানে বসা।
৫। বালিশের উপরে মুখ রেখে উপুড় হয়ে ঘুমানো।
৬। জামা, জুব্বা, পাজামা কাঁধের উপরে ফেলে রাখাও মাকরূহ।
১। ঠান্ডা অথবা গরম পানি দ্বারা গোছল করা যাবে। শরীরের ময়লা দূর করা যাবে না। মর্দন করা যাবে না। কাপড় বদলানো যাবে।
২। টাকার থলি বা কোমর বেল্ট বাঁধা জায়েজ। আঙ্গুলে আংটি পরা, হাতে ঘড়ি পরা জায়েজ।
৩। ছাতা ব্যবহার করা, কোন কিছুর ছায়ায় বসা, দাড়ানো জায়েজ।
৪। আয়না দেখা, মেছওয়াক করা যাবে, কিন্তু সুগন্ধিযক্ত টুথপেষ্ট ব্যবহার করা যাবে না।
৫। হাড়ি-পাতিল, সবজি, বোঝা মাথায় বহন করা যাবে।
৬। ক্ষতিকর প্রাণী যেমন- মশা-মাছি, ছারপোকা, বিচ্ছু মারা জায়েজ।
৭। সুগন্ধিযুক্ত রান্না খাবার জায়েজ।
৮। সুগন্ধিবিহীন তৈল, ভেসলিন, মলম যখম বা কাটা জায়াগায় ব্যবহার করা যাবে।
১। ইহরামের পর তালবিয়া একবার পড়া ফরজ, বারবার পড়া সুন্নাত।
২। প্রতিবারই তালবিয়া তিনবার পড়া মুস্তাহাব।
৩। পুরুষগণের তালবিয়া পাঠের স্বর উচ্চ করা সুন্নাত। তবে অস্বাভাবিক উচ্চ করা যাবে না। যাতে অন্য কারো ঘুমের ব্যাঘআত ঘটে বা চীৎকার ধ্বনির মত হয়। মসজিদের ভেতর জোরে তালবিয়া পড়বেন না।
৪। মহিলাগণ নিজের কানে শুনতে পান এতটুকু আওয়াজে তালবিয়া পড়বেন।
৫। আরবীতে তালবিয়া পাঠ করতে অক্ষম হলে মাতৃভাষায়ও পড়া যায়।
৬। আইয়ামে তাশরীকের দিনসমূহে ফরজ নামাজ শেষে প্রথম তাকবীর বলবেন পরে তালবিয়া পড়বেন। তবে ১০ই যিলহজ্জ পাথর নিক্ষেপের পর থেকে পরবর্তী নামাজগুলোর শেষে তালবিয়া পড়তে হবে না। শুধু তাকবীর বলবেন।
পরিভাষায় মীক্বাত বলতে এমন নির্দিষ্ট কতিপয় জায়াগাকে বুঝায়, দূরাঞ্চলের কা’বা গমনেচ্ছুক ব্যক্তিদের হজ্জ বা উমরাহর ইহরাম ব্যতীত ঐ জায়গাগুলো বা তার বরাবর রেখা অতিক্রম করা নিষিদ্ধ। কেউ ইচ্ছা করলে মীক্বাতে পৌঁছার আগেই এমনকি নিজের ঘর থেকেও ইহরাম বাঁধতে পারে, কিন্তু মীক্বাতে পৌঁছে গেলে অবশ্যই ইহরাম বাঁধতে হবে। বিনা ইহরামে মীকআত অতিক্রম করলে দম ওয়াজিব হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসলমানদের জন্য স্বয়ং রাসূল (দঃ) পাঁচটি মীক্বাত নির্ধারিত করে দিয়েছেন।
(১) যুল-হোলায়ফা বা বী’রে আলী- ইহা মদীনাবাসী ও ঐপথে আগন্তুকদের মীক্বাত। এটি মদীনা থেকে মাত্র ৬ মাইল দক্ষিণে এবং মক্কা থেকে ৪৬০ কিঃ মিঃ উত্তর দিকে অবস্থিত।
(২) জুহফা বর্তমান রাবেগ বন্ধরশহর- ইহা মিশর, সিরিয়া, জর্ডানবাসী ও ঐপথে আগন্তুকদের মীক্বাত। মক্কা থেকে এটি ১৮৭ কিঃ মিঃ উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
(৩) যাতে ইরক্ব- ইরাকবাসী ও পূর্বাঞ্চলীয় লোকদের মীক্বাত। এটি মক্কা থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ১৯৪ কিঃমিঃ দূরে আক্বীক উপত্যাকায় অবস্থিত।
(৪) ক্বারণে মানাযিল- বর্তমান সাইল। নজদ, কুয়েত, আরব-আমিরাত বাসীদের মীক্বাত। মক্কা থেকে ৯৪ কিঃ মিঃ দূরে তায়েফের পথে পাহাড়ের গায়ে এটি অবস্থিত।
(৫) ইয়ালামলাম- ইহা ইয়েমেনবাসী, পাক-ভারত-বাংলাদেশসহ প্রাচ্যদেশ সমূহ হতে সামুদ্রিক জাহাজে আগন্তুকদের মীক্বাত। এটি মক্কা থেকে দক্ষিণ থেকে ১২০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত একটি পাহাড়। বাংলাদেশ থেকে জেদ্দা হয়ে যারা প্রথমে মদীনা যাবেন তারা মদীনা থেকে মক্কায় রওয়ানা হয়ে জুল-হুলাইফা থেকে ইহরাম বাঁধতে পারবেন। এখানে ড্রাইভার গাড়ী থাকায় এবং ওযু-গোছলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাসহ বিশাল মসজিদ আছে। মনে রাখতে হবে জেদ্দা মীক্বাত এর ভিতরে অবস্থিত বিধায় কেউ জেদ্দা এয়ারপোর
১) আমাদের কাফেলা পরিচালনা করেন বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা লুৎফর রহমান; ব্যবস্থাপনায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই জন শিক্ষক সেলিম রেজা ও সালেহ রেজা এবং মাওলানা মাহমুদুল হাসান। মহান আল্লাহ-র উপরে ভরসা রেখে আমরা চেষ্টা করি– কথা দিয়ে কথা রাখতে। হজ্জের সফরে অনেক ব্যাপার আছে, যা আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে; সেই ব্যাপারে সাধ্যমত চেষ্টা করা ও মহান আল্লাহ-র রহমত কামনা করা ছাড়া উপায় নেই (যেমন, বাস এর যানজট)। কিন্তু, কিছু ব্যাপার আছে, যা এজেন্সী সমূহের ১০০% নিয়ন্ত্রনে ইনশাআল্লাহ (যেমন, কোন হোটেলে কতদিন থাকবেন, হোটেলের মান); এই সব ব্যাপারে আমাদের সুনাম ইনশাআল্লাহ আমাদের পূর্ববর্তী হাজ্জীদের কাছে থেকে পাবেন। মহান আল্লাহ-র উপরে ভরসা করে আমরা আশা করি, এই সব ব্যাপারে আমরা আমাদের হাজ্জীদের কাছে ১০০% মার্ক পাব, ইনশাআল্লাহ।
২) হজ্জ এমন ১টি ফরজ ইবাদত, যা জীবনে ১ বার ফরজ। তাই, হজ্জের বুকিং দেওয়ার পরেই আমরা প্রশিক্ষন শুরু করে দিই। প্রথমে আমরা হজ্জের বিস্তারিত পুস্তক দিই; এরপরে ডিজিটাল ও প্রিন্টেড ভার্সনে হজ্জের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশন দিয়ে দিই; এরপরে অডিও ভিস্যুয়াল লারনিং এর জন্য ডিভিডি দিই। পরিশেষে, হজ্জের উপরে দিনব্যাপি ৩ টি প্রশিক্ষন এর আয়োজন করি; যেখানে আমরা ধাপে ধাপে হজ্জের প্রতিটি ব্যাপার শেখাতে চেষ্টা করি। এবং নিঃসন্দেহে যে কোনো ব্যক্তি হজ্জ সম্পর্কে অনেক খানি জ্ঞান অর্জন করতে পারে এই ধাপ সমূহের শিক্ষা হতে।
৩) মক্কা ও মদিনাতে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেমনঃ মদিনা তে রয়েছে ইসলামের প্রথম মসজিদ “কুবা মসজিদ” (যেখানে ২ রাকআত নামাজ আদায় করলে ১ টি উমরাহ্-র সওয়াব পাওয়া যায়। রয়েছে কিবলাতাইন মসজিদ বা দুই কিব্লা মসজিদ; রয়েছে ইসলামের ইতিহাসের বিরাট একটি স্থান ওহুদের ময়দান। মক্কাতে রয়েছে ঐতিহাসিক হেরা পর্বত, জাবালে সাওর (যেখানে রাসুল (সাঃ) হিজরতে যাওয়ার পথে আত্মগোপন করেছিলেন); রয়েছে মিনা, আরাফাত এর মাঠ, মুজদালিফা সহ অনেক দর্শনীয় স্থান। আমরা মদিনাতে অবস্থান কালীন ১ দিন ও মক্কাতে ১ দিন সাইট সিয়িং বা জিয়ারত করি ঐ দর্শনীয় স্থান সমূহ।
৪) আমরা চেষ্টা করি– সবসময় বাঙ্গালী রুচিস্মমত খাবার পরিবেশন করতে। কিন্তু, এইটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার যে, একটি ১০০ জনের কাফেলাতে সবার রুচি একই রকম নয়। সেইক্ষেত্রে আমরা সন্মানিত আল্লাহ-র মেহমানদের এই সুবিধা দিয়ে দিই যে, উনারা স্বেচ্ছায় চাইলে নিজেরা আশেপাশের হোটেল থেকে নিজেদের রুচিমত খাবার কিনে খেতে পারবেন; যার জন্য আমরা জনপ্রতি প্রতি বেলায় ১০ রিয়াল মূল্য নগদ প্রদান করে দিই।
৫) বাংলাদেশে অবস্থানকালীন সময়ে মেডিক্যাল চেকআপ, পুলিশ ভেরিফিকেশন, পাসপোর্ট না থাকলে দ্রুত পাসপোর্ট এর ব্যবস্থা করার কাজ সমূহে আমাদের সাধ্যমত আমরা সহায়তা করি ও সেবা প্রদান করি। ভিসা- বিমান টিকিটের ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করি– হাজ্জীদের বিন্দুমাত্র টেনশন যেন না হয়। সৌদি আরবে কুরবানীর ব্যাপারে আমরা পরামর্শ দিই– সৌদি সরকারের ব্যবস্থাপনায় সৌদি আল রাজি ব্যাংক ও আইডিবি ব্যবস্থাপনাতে কুরবানী করতে; এই সম্পর্কিত গাইড লাইন সমূহ আমরা দিয়ে থাকি।
এছাড়া, আমরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হজ্জের কার্যকলাপ গুলো সহিহ ভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে চেষ্টা করি।
>> আমাদের বিনীত অনুরোধ আমাদের সেবা সমূহ সম্পর্কে আমাদের আগের হাজ্জীদের কাছে থেকে উনাদের অনুভুতি জেনে নিবেন।
আমরা আমাদের সেবা সম্পর্কে (মহান আল্লাহ-র মেহেরবানীতে) আত্মবিশ্বাসী বলেই আমরা বারবার এই অনুরোধ করি।
Proin tempor vulputate diam, nec sollicitudin ligula aliquam at. Aliquam non ex consectetur, varius tortor in, facilisis velit. Pellentesque metus massa, iaculis sed mollis a, viverra ac ligula. Vestibulum bibendum convallis augue, a fermentum nulla. Nulla facilisi. Nunc quis erat id orci rutrum vestibulum. Suspendisse suscipit purus ac urna scelerisque ullamcorper. Nunc mattis tellus id varius malesuada.
In pretium accumsan diam. Maecenas neque nunc, rhoncus congue dictum vehicula, vestibulum ut enim. Sed aliquam bibendum dictum. Nulla facilisis laoreet ante, in porta turpis elementum at. Sed id dolor at purus cursus ultricies. In ut mauris non elit ultricies rhoncus id non turpis. Ut purus nibh, volutpat eu tincidunt ac, placerat quis odio. Suspendisse ullamcorper elit sed est volutpat, eget pretium erat gravida. Donec dolor nulla, dapibus eget elit eget, molestie dapibus nisi. Duis vitae ante sed dui fermentum consequat. Pellentesque consectetur accumsan justo vitae tincidunt.
Donec eleifend odio a urna posuere, ut imperdiet justo faucibus. Aliquam risus odio, ullamcorper aliquam molestie non, varius in arcu. Maecenas mollis, eros eget congue fermentum, leo mauris vulputate elit, quis congue augue erat sit amet ante. Pellentesque vehicula tortor id suscipit condimentum. Nam ornare elementum velit consectetur ultricies. Fusce vitae nisi non dolor rutrum ullamcorper.